যে নীতি আদর্শ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল এখন নেই : দলের বিরুদ্ধে তোপ ডানকুনি পৌরসভার উপ পৌর প্রশাসক

16th December 2020 2:14 pm হুগলী
যে নীতি আদর্শ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল এখন নেই : দলের বিরুদ্ধে তোপ ডানকুনি পৌরসভার উপ পৌর প্রশাসক


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : আগামী বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল দলের অস্সস্তি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।এবার সরাসরি তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ডানকুনি পুরসভার উপপুরপ্রশাসক তথা ডানকুনি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা দেবাশীষ মুখার্জী।এদিন তিনি সরাসরি জানান তৃণমূল দল যে সংগ্রাম আর নীতি আদর্শ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল সেটা আর তৃণমূল দলে নেই।সেই কারণেই দলের বহু সাংসদ ও বিধায়ক দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছে।তৃণমূল দলের সাথে প্রশান্ত কিশোরকে কর্পোরেট সংস্থার সাথে তুলনা করে বলেন যে তৃণমূল দলের আর দলের নেতা কর্মীদের প্রতি ভরসা নেই তাই যারা পশ্চিমবাংলা সম্পর্কে কিছু জানেই না সেই কর্পোরেট সংস্থাকে আনা হয়েছে যাতে দলের আরো বেশি ক্ষতি হয়েছে।শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে সরাসরি জানান তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সময় থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে তার ভালো সম্পর্ক তাই আগামী দিনে দাদার পথ হতে চলেছে তাদের পথ।শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য রাজনীতিতে সংগ্রামের অন্যতম মুখ তাই মানুষের সমর্থন সব সময় তার সাথে আছে।এদিন দেবাশীষ মুখার্জী আরো বলেন এখন যারা নেতাদের তেল মাখাতে পারছে আর দুর্নীতি করছে তারা সামনের সারিতে দলের আর যারা দিনরাত মানুষের জন্য কাজ করছে তাদের জায়গা পিছনে।তবে এদিন দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় চন্ডিতলা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল যে অস্সস্তিতে পড়লো তা বলাই যায়।আর আগামী পুরসভা ও বিধানসভা ভোটে যে শুভেন্দু অধিকারী ও তার অনুগামীরা একটা বড় ভূমিকা নিতে চলেছে তা এলকথায় বলে দেওয়াই যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে।তবে দেবাশীষ মুখার্জীর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ফলে ডানকুনি এলাকায় সংকটে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।